যা খাবেন
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: দুধ, দই ও পনির; অর্থাৎ দুধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকে। এগুলো হাড় শক্তিশালী করে।
মাছ: রুই, টুনা ও স্যামন মাছে রয়েছে প্রদাহনাশক ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সপ্তাহে অন্তত ২ দিন ৮৫ থেকে ১১৩ গ্রাম এ ধরনের মাছ খাওয়া প্রয়োজন।
সয়াবিন: সয়াবিনেও রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা প্রদাহ কমায়। তা ছাড়া সয়াবিনে রয়েছে লো ফ্যাট, উচ্চমানের প্রোটিন ও ফাইবার।
বাদাম: ড্রাই ফ্রুট; অর্থাৎ আখরোট, পেস্তা ও কাঠবাদাম—এসবে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, ভিটামিন ই ও ফাইবার। অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও আর্থ্রাইটিস—উভয়ের জন্যই এসব বাদাম বেশ উপকারী।
শিমের বীজ: শিমের বীজে রয়েছে প্রোটিন, লৌহ, জিংক ও পটাশিয়াম। বাতের কারণে ফোলাভাব কমাতে এটি খুবই ভালো কাজ করে।
লেবুজাতীয় ফল: কমলালেবু, পাতিলেবু, মুসম্বি ও আঙুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিয়মিত এসব ফল খেলে ব্যথা-যন্ত্রণা থেকে অনেকটাই মুক্তি পান। হাড়ের ক্ষতি অনেকটাই কম হয়।
গ্রিন টি: পলিফেনল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ গ্রিন টি। এটি ব্যথা কমায় ও তরুণাস্থির ক্ষতির মাত্রা কমায়। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে হাড়কে সুরক্ষা দেয়।
ব্রকলি: ব্রকলি অনেক রোগের ক্ষেত্রে খুব ভালো একটি খাবার। উচ্চমানের ভিটামিন রয়েছে এতে। এর মধ্যে সালফোরেফেন নামের একটি উপাদান আছে, যা অস্টিওআর্থ্রাইটিস হওয়ার আশঙ্কা কমায় বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
যা খাবেন না
টমেটো: টমেটোতে রয়েছে ইউরিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড হাড়ের জোড় বা জয়েন্টে জমা হয়, যা আর্থ্রাইটিসের ব্যথা বাড়ায়।
লাল মাংস: আর্থ্রাইটিসে ফসফরাসসমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। যেমন লাল মাংস (গরু, খাসি)। এতে শরীরে অতিরিক্ত ফসফরাস জমা হয় এবং ক্যালসিয়াম হারিয়ে যায়।
চিনি: হাড়ের জোড়ে ব্যথা থাকলে চিনি খাওয়া ক্ষতিকর। এতে ওজন বাড়ে ও জয়েন্টে চাপ পড়ে।
কফি: কফি শরীরকে পানিশূন্য করে তোলে। এটি আর্থ্রাইটিসের ব্যথা বাড়ায়।
মদ্যপান: অ্যালকোহল হাড়কে ভঙ্গুর করে দেয়। তাই হাড় সুস্থ রাখতে ও আর্থ্রাইটিসের সমস্যা কমাতে মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।
এ ছাড়া বেগুন, লাল মরিচ, আলু এগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যালকালোয়েডস। এগুলো প্রদাহ তৈরি করে। তাই হাড়ের জোড়ে ব্যথা থাকলে এগুলো খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিন।