ইতিবাচক থাকুন
তোতলামির সমস্যায় ভোগা মানুষের সঙ্গে এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যা তাঁর মনে আঘাত দেয়। বরং রোগীকে আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করুন। বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে কিন্তু তোতলা ব্যক্তি পিছিয়ে থাকেন না, শুধু সামাজিক কারণে হীনম্মন্যতার শিকার হয়ে আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগেন। আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠলে তোতলা ব্যক্তি মঞ্চে উঠে গান-কবিতা-অভিনয়ও করতে পারেন, এমন নজিরও রয়েছে। উইনস্টন চার্চিলের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, মেরিলিন মনরোর মতো বিখ্যাত অভিনেত্রীও কিন্তু তোতলা ছিলেন।
-
তোতলামির কারণে কাউকে ব্যঙ্গ করা যাবে না। তোতলামির অনুকরণ করবেন না।
-
তোতলামির কারণে তাঁর প্রতি রাগ বা বিরক্তি প্রকাশ করা যাবে না। একই কথা বারবার বলতে বাধ্য করা যাবে না। তাঁকে নিজের মতো করেই কথা বলতে দিন।
-
তোতলা ব্যক্তি কিছু বলতে চাইলে মন দিয়ে শুনুন। উৎসাহ দিন।

চিকিৎসা
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেকের তোতলামি আপনাআপনিই সেরে যায়। তাই পাঁচ থেকে আট বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেতে পারে। বাড়িতে একা একা শব্দ করে বই পড়া, রেকর্ড করে নিজেই শোনা—এরকমভাবে চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে পরিবারে তোতলামির ইতিহাস থাকলে, তোতলামি সেরে যাওয়ার পর পুনরায় দেখা দিলে, কথা বলার সময় মুখ বা দেহের অস্বাভাবিক নড়াচড়া পরিলক্ষিত হলে এবং সামাজিক মিথস্ক্রিয়া বিঘ্নিত হলে (যেমন শিশু স্কুলে যেতে অনীহা প্রকাশ করলে) চিকিৎসা নিতে দেরি করা যাবে না। স্পিচ থেরাপির মাধ্যমে তোতলামি সারানো সম্ভব। তবে চিকিৎসা নিতে হয় দীর্ঘ মেয়াদে।
*অধ্যাপক ডা. এ এফ মহিউদ্দিন খান: সাবেক বিভাগীয় প্রধান, নাক-কান-গলা বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ